⭕আল্লাহর পরিচয় জানুন প্লিজঃ
👉নিচের লেখাগুলো পড়লে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বের কিছু বুঝতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ!
👉(ঈমানের ছয়টি স্তম্ভ/ শাখা/ ভিত্তি ছয়টির প্রথমটি হল আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস)
👉১. সূর্য পৃথিবী থেকে প্রায় ১৩ লক্ষগুণ বড়!
👉২. অনেক তারা আছে যা সূর্য থেকে কয়েক হাজারগুণ বড়।
👉৩. প্রথম আকাশের নীচে কত কত তারকা, সূর্য, গ্রহ ইত্যাদি আছে? বিজ্ঞান বলছে তা কিয়ামত পর্যন্ত কম্পিটার দিয়ে গুনলেও গণনা শেষ হবে না! আল্লাহু আকবর
👉৪. যমিন থেকে আসমানের দূরত্বের সমপরিমাণ মোটা হল প্রথম আসমান!
সব আসমান একই রকম মোটা! এক আসমান থেকে আরেক আসমানের দূরত্বও হল একই রকম দূরত্ব!
👉৫. ‘‘কুরসীর মধ্যে সাত আসমানের অবস্থান ঠিক তেমনি, যেমন একটি ঢালের মধ্যে নিক্ষিপ্ত সাতটি দিরহামের অবস্থান’’। অর্থাৎ, সাত আসমান পয়সা হলে কুরসী হল বড় ঢাল। কুরসি হলো মহান আল্লাহর কুদরতি কদম (পা) মুবারক রাখার স্থান।
👉৬. ‘‘আরশের মধ্যে কুরসীর অবস্থান ঠিক সে রকমই যেমন ভূপৃষ্ঠের কোন উন্মুক্ত ময়দানে পড়ে থাকা একটি আংটি’’। তাই, আংটি কুরসী হলে আরশ হল বিশাল ময়দান! এই আরশে আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তালা অবস্থান করছেন।
👉৭. ‘‘তোমাদের কারো হাতে একটা সরিষার দানা যেমন সামান্য স্থান দখল করে, সাত আসমান ও সাত যমীন আল্লাহ তাআলার হাতের তালুতে ঠিক তেমনই’’।
👉৮. আসমান-যমীনসহ উর্ধ্বজগৎ ও নিম্নজগতের সবকিছু সংরক্ষণ করা আল্লাহর জন্য মোটেই কঠিন ও ভারী অনুভব হয়না। কেননা তাঁর শক্তি ও ক্ষমতা সর্বোচ্চ ও চূড়ান্ত।
রেফারেন্সগুলোঃ
‘‘দুনিয়ার আকাশ এবং এর পরবর্তী আকাশের মধ্যে দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ’ বছরের পথ। আর এক আকাশ থেকে অন্য আকাশের দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ বছরের পথ। এমনি সপ্তমাকাশ এবং কুরসীর মধ্যে দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ বছরের পথ। কুরসী এবং পানির মাঝখানে দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ বছরের পথ। আরশ হচ্ছে পানির উপরে। আর আল্লাহ তাআলা আরশের উপরে। তোমাদের আমলের কোন কিছুই তাঁর কাছে গোপন নয়’’।
ইমাম আবু দাউদ
‘‘আসমান ও যমীনের মাঝে দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ বছরের পথ। এক আকাশ থেকে অন্য আকাশের দূরত্ব হচ্ছে পাঁচশ’ বছরের পথ। প্রত্যেক আকাশের ঘনত্বও (পুরুত্ব) পাঁচশ’ বছরের পথ। সপ্তমাকাশ ও আরশের মধ্যখানে রয়েছে একটি সাগর। যার উপরিভাগ ও তলদেশের মাঝে দূরত্ব হচ্ছে আকাশ ও যমীনের মধ্যকার দূরত্বের সমান। আল্লাহ তাআলা এর উপরে রয়েছেন। আদম সন্তানের কোন কর্মকান্ডই তাঁর অজানা নয়’’।
___সুনান আবু দাউদঃ ৪৮২৩; মুসনাদে আহমদঃ ২০৬, ২০৭।
"ইবনে কাসীর আবু যর গিফারী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর উদ্ধৃতিতে বর্ণনা করেছেন যে,
তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে,
কুরসী কি এবং কেমন? তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যার হাতে আমার প্রাণ তার কছম, কুরসীর সাথে সাত আসমানের তুলনা একটি বিরাট ময়দানে ফেলে দেয়া একটি আংটির মত। আর কুরসীর উপর আরশের শ্রেষ্ঠত্ব যেমন আংটির বিপরীতে বিরাট ময়দানের শ্রেষ্ঠত্ব। [ইবন হিব্বান: ৩৬১ বায়হাকী: ৪০৫]"
সূরা হা-মীম আস-সাজদা ৪১: ৯; ব্যাখ্যা
সূরা হা-মীম আস-সাজদা ৪১: ১২; ব্যাখ্যা
আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া ১ম ক্ষন্ড, পৃ-৬০
সূরা আল-বাকারাহ ২: ৩০; ব্যাখ্যা
0 Comments