Search This Blog

হাদিসের কিছু জরুরী মৌলিক জ্ঞান...!

 ♥️♥️♥️ হাদিসের কিছু জরুরী মৌলিক জ্ঞানঃ



❤কোরআন যেমন আছে তেমনি সহিহ হাদিসও আছে। কারণ হাদিস/ সুন্নাহ হল কোরআন অনুসারে নবী মুহাম্মদ সঃ-এর বাস্তব জীবনের কথা, কর্ম ও মৌন সম্মতি!  আলহামদুলিল্লাহ

❤কোরআনের কিছু আয়াত আছে যা শুনলে আমরা সাধারণ অর্থে বুঝবো না। কিন্তু হাদিস আমাদের আয়াতগুলো ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছে। যেমন- সূরা বাকারার ২৮২ নম্বর আয়াতে আছে- 'দুইজন নারীর সাক্ষী আর একজন পুরুষের সাক্ষীর সমান।' নারী ও পুরুষের এই সাক্ষীর পার্থক্য হল নারী পুরুষ থেকে জ্ঞানে অপূর্ণ অর্থাৎ নারীর বুদ্ধি কম। যা আমরা মুসলিম শরীফের হাদিস নং- ৬৬৮৬ পড়লে জানতে পারি। এভাবে আরো বহু বিষয় আছে যা কোরআন থেকে বুঝতে হলে হাদিসের ব্যাখ্যা প্রয়োজন!  আলহামদুলিল্লাহ

❤হাদিসের সনদের মতো রাবী এবং মতন সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, এই সবগুলো সবাইকে জানা ও বুঝা খুবই জরুরী! তাহলে হাদিসের জ্ঞান মানতে সহজ হয়, ইনশাআল্লাহ।

❤মহানবী হযরত মুহাম্মদ সঃ এর মৃত্যুর মাত্র দুই (০২) বছর পরেই আবু বকর রাঃ-এর মৃত্যু হয় ৬৩৪ সালে! তাই কোরআন ও হাদিস বর্ণনা/ সংকলনের কাজটা আবু বকর রাঃ-এর দ্বারা না হওয়াটাই স্বাভাবিক! তবে ওমর রাঃ প্রথমে আল-কোরআনের সংকলনের কাজ শুরু করেন এবং তাতে সুনির্দিষ্ট নিয়ম বিধিবদ্ধ করে সংকলন ও গ্রন্থাকারে চূড়ান্তভাবে তা প্রকাশ পায় হল তৃতীয় খলিফা উসমান ইবন আফ্‌ফান এর খেলাফত কালে।

❤সেই যুগে কাগজে প্রিন্ট করে রাখার উপায় ছিলনা, তাই সেই সময় মানুষ গাছের বাকলে, পশুর চামড়া, পাথরে ইত্যাদিতে লিখে রাখতো। আর মুখস্থ করে রাখা ছিল সবচেয়ে বড় ক্রেডিটের/ সম্মানের! তাছাড়া ঐ সময় মহানবী সঃ-এর মৃত্যুর পর মুনাফিকরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠে, ফলে মুনাফিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযান চালায় মুসলমানরা। তাই খোলাফায়ে রাশেদীনগণ অনেকগুলো বিষয় একসাথে সামাল দিতে হয়েছিল যেমন- মুনাফিকদের বিরুদ্ধে অভিযান, কাফেরদের যুদ্ধের জবাব, দ্বীনের প্রচার, কোরআন ও হাদিসের শিক্ষাদান, সংরক্ষণ ও সংকলন, কোরআন ও হাদিস থেকে দীর্ঘ-সময়-ধরে ব্যক্তিগত আমল চর্চা ইত্যাদি। এভাবে চার খলিফার খিলাফত কালে কোরআন সংকলনের কাজ আল্লাহ সুন্দরভাবে করার তৌফিক দিয়েছিলেন। আর পরবর্তীতে মুনাফিকদের কারণে, খিলাফত আর সুসংগঠিত না থাকাতে হাদিস সংকলনের কাজ আল্লাহ আলেমদের করার তৌফিক দিয়েছিলেন। আলহামদুলিল্লাহ   

❤চার খলীফার শাসনকালঃ
১/ হযরত আবু বকর (রাঃ) (৬৩২–৬৩৪ খ্রিস্টাব্দ),
২/ হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) (৬৩৪–৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দ),
৩/ হযরত উসমান ইবন আফফান (রাঃ) (৬৪৪–৬৫৬ খ্রিস্টাব্দ) ও
৪/ হযরত আলী ইবন ʾআবী তালিব (রাঃ) (৬৫৬–৬৬১ খ্রিস্টাব্দ)।

❤নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সাহাবীগণ হাদিসও সংকলন করেন। এবং হাদিস সংকলনের এ কঠিন/ দুরূহ কাজটি তারা সমাধান করেছেন আশ্চর্যজনক কৃতিত্বের সাথে। তাঁরা মহানবী (সা.)-এর হাদীস অক্ষরে অক্ষরে মুখস্থ রাখেন, শিক্ষা দেন, আমল করেন এবং বিভিন্ন উপকরণে লিখিতভাবে সংরক্ষণ করেন। সাহাবীদের পর তাবেঈগণও অনুরূপভাবে হাদীস সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করেন। তাই আল্লাহর অশেষ রহমতে সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন, তাবে-তাবেঈন ও মুহাদ্দিসগণের (অর্থাৎ যাদের কয়েক লক্ষ হাদিস মুখস্থ ছিল) কঠোর পরিশ্রম ও দীর্ঘ সাধনার বদৌলতে হাদীস সংরক্ষিত ও সংকলিত হয়েছে। ইসলামের জন্য তারা বর্তমান যুগের মুসলমানদের  চেয়ে ছিলেন অনেক অনেক বেশি আন্তরিক ও পরিশ্রমী মানুষ।  আলহামদুলিল্লাহ

❤হাদীস সংরক্ষণের পদ্ধতিসমূহ :
হাদীস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে প্রধানত চারটি পন্থা অবলম্বন করা হয় :

১. হাদীসের শিক্ষা গ্রহণ ও মুখস্থকরণের  মাধ্যমে
২. হাদীসের শিক্ষাদানের মাধ্যমে
৩. হাদীস মোতাবেক আমলের মাধ্যমে
৪. হাদীস লিপিবদ্ধকরণ/ সংকলনের  মাধ্যমে  

❤আল্লাহর নির্দেশ হল হাদিস/ সুন্নাহ মতো চলো, তা হলেই সফলতা পাবে,

‘হে নবী (সা.)! আপনি বলুন, তোমরা যদি আল্লাহর ভালোবাসা পেতে চাও, তবে তোমরা আমার নবী (সা.)-এর অনুসরণ করো; তাহলেই আল্লাহ তাআলা তোমাদের ভালোবাসবেন।’
(সুরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ৩১

)

‘আর আমি আপনাকে পাঠিয়েছি সমগ্র মানবতার জন্য সুসংবাদদাতা ও সাবধানকারী হিসেবে; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না।’ (সুরা-৩৪ আস সাবা, আয়াত: ২৮

)

হাদিস/ হাদিস শাস্ত্রের জ্ঞানও আমাদের অজ্ঞতা, মূর্খতা হতে দূরে রাখে।

তথ্য সূত্রঃ
বই: হাদিস সংকলনের ইতিহাস
লেখক: মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রহিম

Post a Comment

0 Comments