👌কোরআনে পুরুষ ও নারীর পরিচয়ঃ
⭕এক পুরুষ ও দুই নারীকে সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর। নারী ভুল করলে একে অপরকে স্মরণ করিয়ে দেবে (এটা নারীর জ্ঞানের ত্রুটি)।
অর্থাৎ সাক্ষীতে, এক পুরুষ = দুই নারী।
__সূরা বাকারা ২৮২
⭕আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছেন, এক ছেলের জন্য দুই মেয়ের অংশের সমপরিমাণ।
অর্থাৎ সম্পদে এক পুরুষ = দুই নারী।
__সূরা নিসা আয়াত ১১
⭕পুরুষগণ নারীদের উপর অভিভাবক ও রক্ষক এ কারণে যে, আল্লাহ তাদের এককে অন্যের উপর মর্যাদা প্রদান করেছেন,
অর্থাৎ নেতৃত্ব থাকবে পুরুষদের হাতে।
__সূরা নিসা আয়াত ৩৪
⭕তারা কি আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে এমন সন্তান, যে-নারীরা অলংকারে লালিত পালিত হয়, আর বিতর্ককালে বক্তব্যকে স্পষ্ট করতে অসমর্থ?
অর্থাৎ যুক্তি-তর্কে পুরুষরা অধিক স্পষ্ট।
__সূরা আয-যুখরুফ আয়াত ১৮
👉👉নারীরা অলংকারে লালিত পালিত হয় ও বিতর্কে স্পষ্ট উচ্চারণ পারেনাঃ
৩. তারা কি আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে এমন সন্তান, যে-নারীরা অলংকারে লালিত পালিত হয়, আর বিতর্ককালে বক্তব্যকে স্পষ্ট করতে অসমর্থ? সূরা আয-যুখরুফ আয়াত ১৮
👉👉নারীদের চলনা ভীষণঃ
৪. স্বামী যখন ইউসুফের জামাটি পেছন হতে ছেঁড়া দেখতে পেল, তখন সে বলল, ‘এ সব হল তোমাদের নারীদের ছলনা, তোমাদের কূট কৌশল বড়ই কঠিন। সূরা ইউসূফ আয়াত ২৮
👉👉নারী গোপন বিষয় প্রকাশ করে দেয়ঃ
৫. ‘স্মরণ করো—নবী তাঁর স্ত্রীদের একজনকে গোপন একটি কথা বলেছিলেন। অতঃপর যে যখন তা অন্যকে বলে দিল এবং আল্লাহ তা নবীকে জানিয়ে দিলেন, তখন নবী এই ব্যাপারে কিছু ব্যক্ত করলেন এবং কিছু অব্যক্ত রাখলেন। যখন নবী তা সেই স্ত্রীকে জানালেন, তখন সে বলল, আপনাকে এটা কে অবহিত করল। নবী বললেন, আমাকে অবহিত করেছেন তিনি, যিনি সর্বজ্ঞ, সম্যক অবগত।’ (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৩)
👉👉নারী আনুগত্যের চেয়ে যুক্তি খুঁজে বেশিঃ
অধিকাংশ মানুষের স্বভাব হল আনুগত্যের চেয়ে বেশি যুক্তি খোঁজে!
‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কোনো বিষয়ে নির্দেশ দিলে কোনো মুমিন পুরুষ বা কোনো মুমিন নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন সিদ্ধান্তের অধিকার থাকবে না। কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে অমান্য করলে সে তো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩৬)
👉👉নারী কোমল কন্ঠে পুরুষের কাম-প্রভৃত্তি জাগ্রত করেঃ
একজন নারীর কোমল কন্ঠ সহজে বিপরীত লিঙ্গের পুরুষকে আকৃষ্ট করে। তাই তাকে পর্দার আড়ালে থাকাই উত্তম।
‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, তবে তোমরা পরপুরুষের সঙ্গে কোমল কণ্ঠে এমনভাবে কথা বলো না, যাতে যার অন্তরে ব্যাধি আছে সে প্রলুব্ধ হয়। আর তোমরা ন্যায়সঙ্গত কথা বলবে। (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩২)
👉👉নারীদের উপহাস করার স্বভাব আছেঃ
‘কোনো নারী যেন অপর নারীকে উপহাস না করে। কেননা যাকে উপহাস করা হয়েছে সে উপহাসকারিণীর চেয়ে উত্তম হতে পারে।’ (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১১)
👉👉নারী পুরুষের শান্তির স্থানঃ
‘আল্লাহর নিদর্শন হলো—তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের ভেতর থেকে সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তি পাও। তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে বহু নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা : রোম, আয়াত : ২১)
“বলুন, হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ; আল্লাহ্র অনুগ্রহ থেকে হতাশ হয়ো না, নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” -Surah Az-Zumar Ayat 39:53
“উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মি’রাজের রাতে) আমি জান্নাতের প্রবেশদ্বারে দাঁড়ালাম। প্রত্যক্ষ করলাম, যারা জান্নাতে প্রবেশ করছে তাদের অধিকাংশই দরিদ্র শ্রেণী, মিসকীন আর ধনীদেরকে দেখলাম বন্দী অবস্থায়। যারা জাহান্নামবাসী হিসেবে পরিগণিত হয়েছে তাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়ার আদেশ করা হয়েছে। আর আমি জাহান্নামের প্রবেশদ্বারে দাঁড়িয়ে দেখলাম যে, যারা জাহান্নামে প্রবেশ করেছে তাদের অধিকাংশই মহিলা জাতি। (মুসলিম শরীফ; ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৬৮৬, ইসলামিক সেন্টার ৬৭৪১)”
0 Comments